সোমবার, ১০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার জরুরি

-ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার জরুরি

আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ককর প্রত্যাহার জরুরি বলে মনে করেন বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেছেন, বাজেটে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিতে হবে। সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার উৎসাহিত করতে হবে সেচ খরচ কমাতে। আগামী বছর চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকারকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। হাট-বাজার থেকে ধান কিনতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এবার বাজেটের আগ থেকেই

সরকার কৃষি অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। কৃষি খাতে ৯ হাজার ও কৃষকদের প্রণোদনার জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা ব্যবহার করা হয়নি। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্যাকেজ বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, দেশে সার্বিকভাবে কৃষি অর্থনীতির ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে কৃষি উৎপাদন ও সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। সেই বিবেচনায় আসছে বাজেটে আবারও কৃষিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। সেচ খরচ কমাতে উৎসাহিত করতে হবে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার। এ জন্য প্রকল্প নিতে হবে। আমদানিনির্ভর কৃষিপণ্য দেশে উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তাই সবজি-জাতীয় শস্য সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে। ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তায় আনার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ৩৫ লাখ মানুষকে। কিন্তু সমস্যা হলো উদ্যোগ থাকলেও সহযোগিতা সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছানো যাচ্ছে না। ফলে এখানে সংস্কার আনতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত যারা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য সরকারের যে কার্যক্রমগুলো রয়েছে সেগুলোর পরিধি বাড়াতে হবে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সীমিত আয়ের অনেক মানুষ কোনো ধরনের সহযোগিতার তালিকাভুক্ত হননি। তারা এ বছরও বঞ্চিত হতে পারেন এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। তাদের তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ত্বরিত কোনো ব্যবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাগুলো, বিশেষ করে বস্তি, চর ও প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার ওএমএসের কার্যক্রম বাড়িয়ে সেসব ক্ষেত্রে অধিক পণ্য সরবরাহ করতে পারে এবং পণ্যের মূল্য কমিয়ে দিতে পারে। অন্তত তারা যেন শেষ সঞ্চয়টুকু দিয়ে হলেও টিকে থাকতে পারে, এ ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। লকডাউন যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং সেখানে যদি সরকারিভাবে কোনো অর্থনৈতিক সহযোগিতা না থাকে, তাহলে সীমিত আয়ের মানুষ, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র খামারিরা বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হতে পারে। এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক সহযোগিতার কাঠামোটি সরকারের পরিকল্পনায় নিয়ে আসা জরুরি, যাতে সময়মতো তাদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর