দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের ১৪ মাস তিন দিনের মাথায় মৃত্যু ছাড়িয়ে গেল ১২ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৩ জন। এ নিয়ে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার পাঁচজনে। গত এক দিনে ১৪ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৩০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এদিকে গত এপ্রিলে দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে বেড়ে গিয়েছিল সংক্রমণ। গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের পর একপর্যায়ে সংক্রমণ কমতে থাকে। ধীরে ধীরে দৈনিক মৃত্যুও কমছে। গতকাল ৩৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর, যা গত ২৬ মার্চের পর সর্বনিম্ন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার পাঁচজন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ২১ জন ছিলেন পুরুষ ও ১২ জন নারী। হাসপাতালে ৩১ জনের ও বাড়িতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, ১০ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, পাঁচজন চল্লিশোর্ধ্ব ও দুজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১৯ জনই মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে সাতজন, সিলেটে তিনজন, রংপুরে দুজন এবং একজন করে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন। সুস্থ ও মৃত বাদে দেশে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে ৪৮ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাত্র ২ হাজার ৫৮৪ জন। অধিকাংশ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ায় ফাঁকা রয়েছে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা। গতকাল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ৮০০টি আইসিইউ ও ৯ হাজার ৭৯৬টি সাধারণ শয্যায় কোনো রোগী ভর্তি ছিল না। ফি কমেছে নমুনা পরীক্ষার : বেসরকারি পর্যায়ে দেশে কভিড-১৯ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ফি কমানো হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদেশগামীদের সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো ল্যাব থেকে পরীক্ষা করলে ৩ হাজার টাকা লাগত। এখন তা কমিয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। এ ছাড়া সাধারণ লোকজনের বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করাতে লাগত ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তা কমিয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর বেসরকারিভাবে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করালে ৪ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে এখন লাগবে ৩ হাজার ৭০০ টাকা। সরকারি পর্যায়ে পরীক্ষা করাতে আগের মতো ১০০ টাকাই লাগবে।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে লোকজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বাড়ি যাওয়ায় বাড়তে পারে সংক্রমণ। তাই বাড়ি থেকে ফেরার পর করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।