রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

কোম্পানীগঞ্জে সহিংসতা পুলিশের ফাঁকা গুলি আহত ১০

মির্জাপন্থিদের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা বাদল আহত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

বসুরহাটের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে বসুরহাট বাজারে এ হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন বাদলের তিন অনুসারী। মোট আহত হন পুলিশসহ ১০ জন। সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলালও আক্রান্ত হন। বাদলের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত বাদলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

হামলার প্রতিবাদে বাদলের অনুসারীরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে গাড়ি চলাচলে

 অবরোধ করে। দুপুরে চর কাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় বাদলের তিন অনুসারী গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ চয়ন, হৃদয়, আরমানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধকারীদের ছোড়া ইটে চার পুলিশ সদস্য আহত হন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রথমে বাদলের গাড়ির পেছনে গুলি করে। একপর্যায়ে গাড়ির গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে পা ও বুকের হাড় ভেঙে দেয় এবং কানে গুরুতর জখম করে।

বাদলের সঙ্গে থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলাল বলেন, ‘চাপরাশিরহাট বাজার থেকে সকাল ৯টার দিকে আমরা দুজন বসুরহাট হয়ে গাড়িতে করে ঢাকা যাচ্ছিলাম। যাত্রা পথে আমাদের গাড়িটি বসুরহাট বাজারের প্রেস ক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে গাড়ির গতিরোধ করে প্রথমে গাড়ির পেছনে গুলি করে। একপর্যায়ে বাদলসহ আমাকে বেধড়ক পেটানো হয়।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান জানান, বাদলের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং আবদুল কাদের মির্জার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার বেলা ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা কোম্পানীগঞ্জে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বাদলকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার পর তিনি আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে টেকের বাজারে পুলিশের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক লাইভে বলেন, ঘটনার সময় আমি পৌর ভবনে অবস্থান করি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরা হোক।

সর্বশেষ খবর