শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ আটক

সাতক্ষীরার সেই এএসআই বরখাস্ত তদন্ত কমিটি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

করোনা উপসর্গে অসুস্থ বাবাকে বাঁচাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পুলিশের এএসআই সুভাষ চন্দ্র শিকদার ছেলেকে দুই ঘণ্টা আটক রেখে কালক্ষেপণের ঘটনায় বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা ইটাগাছা ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সুভাষকে রাতেই সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম রজব আলী মোড়ল (৬৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান, এ ঘটনায় এএসআই সুভাষ চন্দ্রকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ও ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তারেক আজিজ। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সুভাষ চন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া রজব আলী মোড়লের ছেলে  ওলিউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছলে তাকে আটক করেন এএসআই সুভাষ। লকডাউনে বাইরে বেরিয়েছো কেন বলে তার কাছে ১ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। ‘অসুস্থ বাবার জন্য অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছি’ বলা হলেও দাবি করা টাকা দিতে না পারায় তাকে ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে জিয়াউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় ২০০ টাকা নিয়ে এএসআই সুভাষ তাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে দেখেন শ্বাস কষ্টে তার বাবা মারা গেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ বলেন, ওলিউল নামের ছেলেটি মোটরসাইকেলে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বেপরোয়া গতিতে আসছিল। গতিরোধ করে তার কাগজপত্র দেখাতে বলি। কাগজ দেখাতে না পারায় গাড়িটি আটক রেখে তাকে অন্য একটি ইজিবাইকে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যেতে বলি। সে মোটরসাইকেল না নিয়ে যাবে না বলে রাজি হয়নি। বিষয়টি ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে জানালে তিনি মোটরসাইকেল ছেড়ে দিতে বলেন। পরে শুনলাম তার বাবা মারা গেছেন।

সর্বশেষ খবর