প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমলেও সংক্রমণ বেড়েছে। রবিবার ৭০ জনের মৃত্যু হলেও গতকাল মারা গেছেন ৬৫ জন। এ ছাড়া আগের দিন ২ হাজার ৪৩০ জনের শরীরের কভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭১০।
আগের দিন সংক্রমণ শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৭৯৭টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ সময় এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৭ হাজার ৮৪২টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৫৯৫টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৯০ লাখ ৯১ হাজার ৬১০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ২ হাজার ৭১০টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১৫ লাখ ১৭ হাজার ১৬৬টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১২৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৭-তে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত ৬৫সহ দেশে করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ২৬ হাজার ৬২৮ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের মধ্যে পুরুষ ৩২, নারী ৩৩ জন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ১১ থেকে ২০ বছরের একজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের পাঁচজন রয়েছেন। সর্বোচ্চ ১৭ জন ঢাকা বিভাগ আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ছয়, খুলনা বিভাগে ১০, বরিশাল বিভাগে তিন, সিলেট বিভাগে ১০, রংপুর বিভাগে চার ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
