মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

লিটনের ছাদবাগানে ৩০ ধরনের ফল

নাটোর প্রতিনিধি

লিটনের ছাদবাগানে ৩০ ধরনের ফল

বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন সিংড়ার বই ব্যবসায়ী তারেকুজ্জামান লিটন। তার দোতলা বাড়ির ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি গাছের ডালে প্রায় ৩০ ধরনের ফল। তার এ সফলতায় ছাদবাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই।

সিংড়া পৌর শহরের পেট্রোলবাংলা মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ইসলামিয়া লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী তারেকুজ্জামান লিটন। ২০১৬ সালে বাড়ির ছাদে ফলের বাগান শুরু করেন। নাটোর, বগুড়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তিনি দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০ প্রজাতির ফল গাছ সংগ্রহ করে ছাদবাগান তৈরি করেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় পাঁচ বছরে বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।

সরেজমিনে দেখা যায়, দার্জিলিং মাল্টা, ভেরিকেডেট মাল্টা, থাই মাল্টা, বারি-১ মাল্টা, ছিডলেস লেবু, কট লেবু, বারোমাসি আমড়া, থাই পেয়ারা, জাম্বুরা, দার্জিলিং কমলা, মিষ্টি জলপাই, মারোমাসি আম, মিয়াজাকি আম, ব্যানানা ম্যাংগো, আপেলকুল বরই, ছফেদা, কাঁঠাল, থাই ডালিম, ড্রাগন, ত্বিন, লাল পেয়ারা, কামরাঙা, মালবেরিসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির ফল রয়েছে লিটনের ছাদবাগানে। রয়েছে গোলাপ, মাধবীলতা, টগরসহ কয়েক ধরনের ফুল গাছও।

লিটন বলেন, ‘গাছ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসা থেকেই এ বাগানের জন্ম। এখান থেকে ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়া যায়। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী ও স্বজনদের দেওয়া হয় এ ফল। বিভিন্ন জেলা থেকে ফল গাছ সংগ্রহ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাগানটি আরও বড় করার ইচ্ছা আছে।’

লিটনের ছাদবাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাশের ছাদে বাগান করেছেন তার ভাতিজা, কলেজপড়ুয়া নোমান। নোমান বলেন, ‘আমার চাচা ছাদবাগানে সফলতা পেয়েছেন। তার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমিও বাগান করেছি। অবসর ছাদবাগানেই কাটাই।’

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, ‘তার ছাদবাগানের কথা শুনেছি, কখনো যাওয়া হয়নি। এ ছাড়া কেউ ছাদবাগান করতে উদ্বুদ্ধ হলে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও পরামর্শ দেব।’

সর্বশেষ খবর