বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সিভিল এভিয়েশন-২ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তিন প্রকৌশলী এবং তাদের স্ত্রীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। যাদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদুল ইসলাম, সিভিল এভিয়েশনের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনূস ভূইয়া, তার দুই স্ত্রী মরিয়ম নেছা ও মারুফা আক্তার এবং এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান সিকদার ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকসূত্র জানান, প্রকৌশলী মাকসুদুলকে তার নিজের, স্ত্রীর এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। দুদকসূত্র জানান, সিভিল এভিয়েশন-২-এর সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনূস ভূইয়া ও তার দুই স্ত্রী মরিয়ম নেছা এবং মারুফা আক্তারের নিজেদের সম্পদ বিবরণী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের যাবতীয় সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এভিয়েশনের দুই প্রকৌশলীর নোটিসগুলো জারি করেন। এদিকে দুদকের পরিচালক এস এম মাসুদুল হক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান সিকদার, তার স্ত্রী মিসেস কামরুন নাহার এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিস জারি করেছেন। দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের নোটিস প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে বা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।