শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ফেসবুকের নাম বদলে যাচ্ছে!

প্রতিদিন ডেস্ক

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নাম পাল্টে যাচ্ছে। ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলন, আর সেখানেই এ পাল্টে যাওয়া ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। রয়টার্স, বিবিসি।

খবরে বলা হচ্ছে, পুরনো নাম বদলে নতুন নামে পরিচিত হতে চায় ফেসবুক। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে ফেসবুকের উত্থান হলেও ফেসবুকের কার্যকারিতা আর সেটুকুর মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ নেই। নানা ধরনের পরিষেবার দিকে এগিয়ে গেছে ফেসবুক। এককথায় সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। তাই নাম বদলে দিতে চাইছে জাকারবার্গের সংস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মালিকানাও রয়েছে ফেসবুকের হাতেই। কিন্তু সংস্থার আগামী লক্ষ্য অন্য কিছু। নিজেদের আরও ছড়িয়ে দিতে এবার রে ব্যানের মতো সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ফেসবুক। এআর গ্লাস তৈরি করতে চাইছে সংস্থা। এদিকে ফেসবুকের নামে পরিবর্তন আসবে- এমন খবর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই সম্ভাব্য নাম প্রস্তাবও করেছেন। সেই প্রস্তাবনার বেশির ভাগই তারা করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফরম টুইটারে গিয়ে। কেউ কেউ বলেছেন নাম সংক্ষেপ করে ‘এফবি’ করা হোক। অনেকেই এ নামে ফেসবুকের উল্লেখ করে থাকেন। আবার ফেসবুকের প্রথম নাম ‘দ্য ফেসবুক’ করার দাবিও এসেছে। নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনার খবর প্রথম প্রকাশ করে দ্য ভার্জ।

ওয়েবসাইটটির আরেক প্রতিবেদনে সম্ভাব্য নাম হিসেবে ‘হরাইজন’-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বেশ আগে থেকেই এ নামে একটি ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফরম তৈরিতে কাজ করছে ফেসবুক। মেটাভার্সের ধারণার সঙ্গেও যা মিলে যায়। মেটাভার্সে ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেবা পাওয়া যাবে ভার্চ্যুয়াল জগতে, যে জগতে ব্যবহারকারীরা যুক্ত হয়ে বাস্তব দুনিয়ার মতো একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারবেন, একসঙ্গে কিছু কিছু কাজও হয়তো করতে পারবেন। ভার্চ্যুয়াল আর বাস্তব জগতের বিভেদ কমে যাবে বলা হচ্ছে, যা অগমেন্টেড এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব হবে। নতুন হিসেবে ‘মেটা’ নামও শোনা যাচ্ছে। ফেসবুকের সাবেক কর্মকর্তা সামিদ চক্রবর্তীসহ অনেকে এ নাম প্রস্তাব করেছেন। তা ছাড়া মেটা ডটকমে ঢুকলে সেটি মেটা ডট অর্গ ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে বায়োমেডিকেল গবেষণা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সেটি। দাতব্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক জাকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রী প্রসিলা চ্যান। দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে ব্র্যান্ড পুনর্গঠনের উদ্দেশ্য হিসেবে মেটাভার্সের কথাই বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নতুন একটি মাতৃপ্রতিষ্ঠান গঠন কওে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ প্রতিষ্ঠানটির সব সেবা সেটির অধীন আনা হতে পারে। গুগলের সব সেবা যেমন ‘অ্যালফাবেট’ নামের প্রতিষ্ঠান গঠন করে সেটির অধীন নিয়ে যাওয়া হয় ২০১৫ সালে। ‘মেটা’ নামটি গ্রহণের সম্ভাব্য আরেকটি কারণ হলো, সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলো সংক্ষিপ্ত নাম পছন্দ করে। এটাকে মর্যাদাকর মনে করে তারা। অ্যালফাবেটের ওয়েবসাইট ঠিকানা যেমন এবিসি ডট এক্সওয়াইজেড। আর তা ছাড়া, মেটা নাম ব্যবহার করলে সেটাকে মেটাভার্সের সংক্ষিপ্তরূপ হিসেবেই দেখবে মানুষ।

সর্বশেষ খবর