শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বহু বছর নিখোঁজ ছয় বাংলাদেশি ভারত থেকে ফিরলেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বহু বছর নিখোঁজ ছয় বাংলাদেশি ভারত থেকে ফিরলেন

বহু বছর ধরে নিখোঁজ ছয় নর-নারী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তারা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরকালী বাজাইল গ্রামের আলপনা খাতুন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম, জামালপুর সদরের নারিকেলি গ্রামের মানিক মিয়া, ঢাকার কেরানীগঞ্জের রিনা আক্তার, কিশোরগঞ্জ সদরের ভাস্করটিলা গ্রামের হানিফা আক্তার প্রমুখ। ত্রিপুরায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

দুপুর ১টায় নো ম্যান্স ল্যান্ডে তাদের ভারত প্রত্যর্পণের সময় ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক, দূতালয়প্রধান এস এম আসাদুজ্জামান এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি-প্রধান শরিফুল হাসান, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আবদুল হামিদ, স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ খায়রুল আলম। জানা গেছে, ফেরত আসা ছয় বাংলাদেশিই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে আটক হন। পরে আদালতের নির্দেশে আগরতলার মডার্ন সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের অনেকেই এ হাসপাতালে চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ হাসপাতালে পাচারের শিকার আরও অনেক বাংলাদেশি আছেন বলে জানা গেছে। ফিরে আসা জিয়ারুলের আত্মীয় মোহাম্মদ রাজ্জাক জানান, ২০১৪ সালে তাঁর স্ত্রীর বোনের স্বামী জিয়ারুল নিখোঁজ হন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এমন একজন মানুষ ভারতে চলে যাওয়া বিস্ময়কর। আলপনার চাচাতো ভাই দুলাল জানান, ১০ বছর আগে হঠাৎ একদিন তাদের বোন নিখোঁজ হন। অনেক পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন আগরতলায় মানসিক হাসপাতালে আছেন। কিন্তু কীভাবে গেলেন তারা বুঝতে পারছেন না। হানিফা আক্তারর ছেলে ইয়াছিন জানান, পাঁচ বছর আগে হঠাৎই তাদের মা হারিয়ে যান। তারা ভেবেছিলেন কোনো আত্মীয়বাড়িতে গেছেন। পরে নানাবাড়ি করিমগঞ্জ থানায় খোঁজ করেন। কিন্তু পাননি। পরে মে মাসে পুলিশ খোঁজ নিতে বাড়ি এলে জানতে পারেন আগরতলায় আছেন তার মা। কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাহের আলী বলেন, ‘একটি আনন্দের ঘটনার সাক্ষী হতে এসেছি। বছর দু-এক আগে খবর পাই রিনা আক্তার ভারতে আছেন। এরপর সরকারি উদ্যোগে তাদের দেশে আনা হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর