সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
সমাবেশে ফখরুল

চট্টগ্রাম থেকেই সরকার পতন আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম থেকেই সরকার পতন আন্দোলন

চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত সমাবেশে গতকাল বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।  অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন।

গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে এক বিরাট সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে  বিএনপি মহাসচিব দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। দুপুরে নগরের বিপ্লবী উদ্যানের বিপ্লব স্তম্ভে ফুল দিয়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ২ নম্বর গেট মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন মির্জা ফখরুল গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে তারা বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের বিপরীতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে পুলিশ কাউকেই সেখানে কর্মসূচি পালন করার অনুমতি দেয়নি। পরে বিএনপি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের পরিবর্তে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ করে। পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটি চট্টগ্রামের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানী, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বকর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে পুলিশের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখন জনগণের নিষেধাজ্ঞা আপনাদের ওপর আসবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে-ততবারই ইতিহাস বিকৃতি করেছে। তারা মানুষের মন থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলতে চায়। তাই আমাদের কালুরঘাট যেতে দেয়নি তারা। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আওয়ামী লীগ সরকার ডিগবাজি খেয়েছে। তারা বলেছে- রাশিয়ার যুদ্ধে ভোট দেবে না। কয়দিন আগে আমেরিকার ধমক খেয়ে ইউক্রেনকে ভোট দিয়ে দিয়েছে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশ বিভাগ, আইনের শাসনকে নষ্ট করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইন ধরেছে মানুষ। যারা পণ্যের দাম বাড়িয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের। সরকার তাদের কাউকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

সর্বশেষ খবর