ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রায় চার বছর আগের ৪০০ টাকা পাওনা নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতের মধ্যে ১৩ জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে একজনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা হলেন- জসিম মিয়া (৩২), আলকাছ মিয়া (৩৫), নয়ন মিয়া (১৮), কালু মিয়া (২৮), জীবন মিয়া (১৮), নাদিম (১৮), কিরণ মিয়া (১৯), বাদল মিয়া (২২), মনসুর আলী (৩০), বিল্লাল মিয়া (৬০), পাভিয়া (৩০), ময়না বেগম (৩৫), শাহীন মিয়া (৩০)। এর মধ্যে দুই হাত ভেঙে যাওয়া জীবন মিয়াকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মৈন্দ গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে সুমনকে চার বছর আগে ৪০০ টাকা হাওলাত দেন একই এলাকার মনসুর। রবিবার রাত ৯টার দিকে মৈন্দ বাজারে শাহজাহান মিয়ার চা স্টলে সুমনকে পেয়ে পাওনা ৪০০ টাকা দাবি করেন মনসুর। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মনসুরকে মারধর করেন সুমন। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি মীমাংসা করে দেন স্থানীয় লোকজন। কিছুক্ষণ পর সুমনের বাড়ির লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মনসুরের বাড়িতে হামলা চালায়। তারাও পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
