চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুলাভাইর ছুরিকাঘাতে শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিগদাইর গ্রামে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুল ইসলাম রবিন (৪২) ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাবার নাম আবুল বাশার। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী অভিযুক্ত দুলাভাই শাহাদাত হোসেন রতনকে (৫২) আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দুলাভাই শাহাদাত হোসেন রতনের সঙ্গে শ্যালক কামরুল ইসলাম রবিনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উত্তেজিত দুলাভাই শ্যালকের পেটে ধারালো ছুরি বসিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত শাহাদাতের স্ত্রী আনজুম আরা স্বপ্না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী টাকা ও সম্পদের জন্য আমাকে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। আমার ও আমার সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে আমার ভাইয়েরা তাকে সবসময় টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছে। সর্বশেষ টাকার পাশাপাশি সম্পদের জন্য আমার ভাইদের চাপ সৃষ্টি করতে থাকে সে (শাহাদাত)। এ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। স্বপ্না বেগম আরও বলেন, সম্পদ না পেয়ে আমার স্বামী ও তার ভাই-ভাতিজারা আমার ভাইদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আমার ভাইকে (কামরুল হাসান রবিন) একা পেয়ে আমার স্বামীসহ অন্যরা সবাই ছুরিকাঘাত করে মেরেই ফেলল। তিনি পুলিশের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, ঘটনার পরপরই উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্তকে আটক করে। এমন সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সোহেল মাহমুদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রতনকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।