আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে ৯৩ কেন্দ্রে ১৬৪ বুথে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একযোগে চলবে ভোট গ্রহণ। এবারের নির্বাচনে ৫০ হাজার ৮০৩ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। নির্বাচনে সাধারণ সাতটি আসনে ৩৫ জন প্রার্থী এবং গ্রুপ ভিত্তিক সাত আসনে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বার কাউন্সিল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে মূলত দুটি প্যানেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা। প্যানেলের বাইরেও কিছু প্রার্থী রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের (সাদা প্যানেল) ব্যানারে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) ব্যানারে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বিচারাঙ্গনের উন্নয়ন ও আইনজীবীদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য সাদা প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার সমর্থক আইনজীবীরা। মুক্তিযুদ্ধের প্যানেলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাদা প্যানেল থেকে সাধারণ আসনে প্রার্থী প্রবীণ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইনজীবীদের সার্বিক কল্যাণ এবং আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও বিচারপ্রার্থী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং জীবনের বাকি সময়টুকু একইভাবে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। ঢাকা বার ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে উল্লেখ করে নীল প্যানেল থেকে সাধারণ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সুপ্রিম কোর্ট বারে যা ঘটছে তা আমরা দেশের মানুষ ও আইনজীবীদের কাছে তুলে ধরব। আইনজীবীরা এসব বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ভোট দেবেন।
সাদা প্যানেলের সাধারণ আসনের প্রার্থীরা হলেন- প্রবীণ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, মো. কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বাদল, শাহ মো. খসরুজ্জামান, মো. রবিউল আলম (বুদু), মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা) ও মো. নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে, নীল প্যানেলের সাধারণ আসনের প্রার্থীরা হলেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী আবদুল মতিন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন গত ২১ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সব জেলা সদরের দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে একটি করে ভোট কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া বাজিতপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাংগা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতসমূহের প্রত্যেকটির অঙ্গনে একটি করে ভোট কেন্দ্র থাকবে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে সরকার সমর্থকদের সাদা প্যানেল। অপরদিকে বিএনপি জোটের নীল প্যানেল পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন।
