রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

পার্বত্যাঞ্চলে বাঁশ চাষ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্যাঞ্চলে বাঁশ চাষ

পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবিকার আরেক নাম বাঁশ। পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি বাঁশ উৎপাদন করেও চলে অনেকের সংসার। কারণ পাহাড়ের বাঁশ পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কৃষকরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এ বাঁশ চাষ সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের বসবাস ছিল বাঁশের তৈরি মাচাংঘর। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন ইট-পাথরের দালানকোঠা গড়ে উঠলেও বাঁশের চাহিদা এখনো রয়েছে ঠিক আগের মতোই। এ বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্প হিসেবে। তাই তো এখনো পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বেশির ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা চলে বাঁশ বিক্রি করে। পাহাড়ের এসব বাঁশ শুধু ঘর কিংবা ঘরের তৈজষপত্র তৈরিতে নয়, বাঁশকোঁড়ল (পাহাড়ি ভাষায় বাচ্চুরি) অর্থাৎ একপ্রকার সবজি হিসেবেও বিক্রি হয় এ বাঁশ। তাই জুম চাষের পাশাপাশি বাঁশ আবাদে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। রাঙামাটি জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাউখালী উপজেলার প্রায় ২৫ হাজারেরও অধিক পরিবার এখন বাঁশ চাষ করেই চলে। উপজেলার তালুকদারপাড়া, শামুকছড়ি, বর্মাছড়ি, উল্টাছড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রয়েছে এ বাঁশবাগান। সপ্তাহে দুই দিন হাটে তোলা হয় এসব বাঁশ। রপ্তানি করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গাজীউল হক জানান, রাঙামাটির পাহাড়ে মুলি বাঁশ, মিতিঙ্গা বাঁশ, ওরা বাঁশ, ভ্যাইজ্জা বাঁশ ও ডলু বাঁশ বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এসব বাঁশের চাহিদা ও লাভ অনেক। তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও চাষিদের করা হচ্ছে সহযোগিতা। তবে চাষিরা বলছেন, পার্বত্য অঞ্চলে বাঁশ উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষতা না থাকার কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বাঁশ চাষিরা। তাই পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের সহায়তা এখন অতি জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর