শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাধব মালঞ্চী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

মাধব মালঞ্চী

শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো থিয়েটার আর্ট ইউনিট প্রযোজিত নাটক ‘মাধব মালঞ্চী’। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হয়। এটি ছিল দলের ৩৬তম প্রযোজনার নাটক। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন রোকেয়া রফিক বেবী।

দুর্লভ রাজার ছোট পুত্র মাধব। রানির মৃত্যুর পর রাজা মাধবকে লালন-পালনের দায়িত্ব দেন তার বড় পুত্রবধূ চন্দ্রবনকে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুর্লভ রাজার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে রাজা হওয়ার বাসনায় রাজপুত্রদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ভবিষ্যৎ রাজা ঠিক করার জন্য গণনা করা হয় এবং তিনবারই গণনায় মাধবের নাম আসে। এ ঘটনায় বড় ভাইয়েরা মাধবকে মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু করলে চন্দ্রবন আদরের দেবরকে পাঠিয়ে দেন দূরদেশে। এক দিন সুদর্শন মাধবের প্রেমে পড়ে রাজকন্যা মালঞ্চী। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- নুরুজ্জামান বাবু, মানিক, সজল, ইসমাইল সিরাজী, রানা সিকদার, লেমন, ক্ষমা, ঐতিহ্য, বাঁশরী, তানভীর, ভাবনা, সুজন, লেলিন, ইন্দ্রাণী, দোলন, ফারহানা, ফুয়াদ, প্রদীপ, মোকাদ্দেম প্রমুখ।

ডিআরইউরনজরুল স্মরণ : কথা আর সুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কবি নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরিতে ‘নজরুল স্মরণ’ শীর্ষক এ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি ছিলেন নজরুল সংগীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। তিনি নজরুলের জীবন ও কাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সংগীত পরিবেশন করেন। খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন প্রকাশ্যে অসাম্প্রদায়িক কবি। সংগীতের পাশাপাশি তাঁর জীবন দর্শন ছিল অনুকরণীয়। তিনি হিন্দু মুসলমানের গালাগালিকে গলাগলিতে রূপ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁর জীবন দর্শনের মধ্য দিয়ে। নজরুলের জীবন দর্শন প্রচার-প্রসারের আহ্বান জানিয়ে এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আরও বলেন, দেশজুড়ে যে সাম্প্রদায়িকতা, অরাজকতা, নৈরাজ্য চলছে, সেই সময়ের প্রেক্ষাপটেও তিনি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।

মানবতাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা আর সমাজের সাম্য রক্ষার কথা সেই সময়েও তার কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। এমনকি তাঁর শেষ বক্তৃতায়ও বলেছিলেন, আমি ভালোবাসা পেতে এবং দিতে এসেছি। আলোচনার পর তিনি গেয়ে শোনান নজরুলের গান ‘নহে নহে প্রিয়, এ নহে আঁখি জল’, ‘এ নহে বিলাস বন্ধু, ফুটেছি জলে কমল’, ‘মনে পড়ে আজ এ কোন জনমে’, ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়’, ‘জরিন হরফে লেখা রুপালি হরফে লেখা’, ‘বল রে জবা বল কোন্ সাধনায় পেলে শ্যামা মায়ের চরণ তল’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর নেতারা। সব শেষে ডিআরইউর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান শেষে খায়রুল আনাম শাকিলের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর