বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন-এই বলে আলমগীর হোসেন শেখ (৪৫) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কিন্তু ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে উধাও।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন জানান, হাত-পা ভাঙা রোগীকে কমপক্ষে এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। তাছাড়া এর মধ্যে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে গেলেও ২১ দিন লাগবে। তারপরও বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে বলা হয়। অথচ আলমগীর ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।
আলমগীর শেখ বগুড়া সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের (এলজিইডি) নৈশপ্রহরী। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরে। আলমগীরের স্ত্রী শাহিদা বেগম এলজিইডির প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেন যে, তার স্বামী দেড় বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানদের কোনো ভরণ-পোষণ দিচ্ছেন না; তাদের সঙ্গেও রাখছেন না। অফিস থেকে আলমগীরকে ভালো হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শাহিদা এক পর্যায়ে ইউএনও সমর কুমার পালের কাছে অভিযোগ করেন। ইউএনও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলমগীরকে ‘সমস্যার সমাধান’ করে অফিসে যোগদান করতে বলেন। এরপর আলমগীর মারপিটের অভিযোগ তুলে উপজেলা ক্যাম্পাস চত্বরে একটি গাছের নিচে গিয়ে শুয়ে পড়েন। রাতে হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলমগীর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইউএনওর বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি কমিটি করেছে। ইউএনও জানান, ‘আলমগীরকে আমি কোনো মারপিট করিনি।’