বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রেকর্ড ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

ওঠানামা করছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেকর্ড ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন, মারা গেছেন একজন। চলতি বছরে এটাই এক দিনে সর্বাধিক ডেঙ্গু রোগীর হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড। এর মধ্যে ৩৭৩ জন ঢাকায় ও ১৫১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গতকাল সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৮২০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৩৮৮ জন ও অন্যান্য বিভাগে ৪৩২ জন ভর্তি ছিল। আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১ হাজার ৭৩৮ জন। এক দিনের ব্যবধানে হাসপাতালে রোগী বেড়েছে ৮২ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরে মোট ১৫ হাজার ৩৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭১ জন। গত ২১ জুন ডেঙ্গুতে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গতকাল পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৫৫ জন। এদিকে দেশে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৫ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ১৪.০৭ শতাংশ। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ৭৩৭ জন, শনাক্তের হার ছিল ১৫.৪২ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে শনাক্তের হার ও সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে। আসেনি কোনো মৃত্যুর সংবাদ। তবে করোনা সংক্রমণ এক দিন কমলে ফের পরদিন বেড়ে যাচ্ছে। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ১৫.৩৮ শতাংশ শনাক্ত হারের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরের দুই দিন শনাক্তের হার টানা কমে ১৩ শতাংশের নিচে নামে। ফের দুই দিন বেড়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় আবার ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, টানা দুই সপ্তাহের বেশি শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলেই কেবল তাকে নিরাপদ সংক্রমণ পরিস্থিতি ধরা যাবে।

আর ১৪ শতাংশের ওপরে শনাক্তের হারকে উচ্চ সংক্রমণ ধরা হয়। এদিকে ঠিক এক সপ্তাহ পর গত ২৪ ঘণ্টায় ফের মৃত্যুহীন দিন দেখল দেশ। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) করোনায় কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি। মাঝের ছয় দিনে মারা গেছেন ১৫ জন। গতকাল আবারও মৃত্যু না হওয়ার সুখবর এলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২৮ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ২৩ হাজার ৮১০ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৭ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩৬০ জন।

 

সর্বশেষ খবর