বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্কুল ভবন নদীতে, বিলীন হচ্ছে আরও একটি

যমুনায় ভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

স্কুল ভবন নদীতে, বিলীন হচ্ছে আরও একটি

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতভিটা-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার নদীতে বিলীন হয়েছে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন। নদীর কিনারায় ঝুলে আছে আরেকটি ভবন। যে কোনো সময় সেটিও বিলীন হয়ে যাবে। এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, চৌহালীর সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে যমুনার ঘূর্ণাবর্তে দেওয়ানতলা, সংকরহাটি, গাবেরপাড়, মাঝগ্রাম ও সদিয়া চাঁদপুর গ্রামে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। তাদের অভিযোগ- পাউবো যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

শিক্ষার্থী জাকির হোসেন ও রেখা খাতুন জানায়, স্কুল ঘর নদীতে চলে গেছে। আমরা এখন পড়াশোনা কোথায় করব?

চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম বলেন, পাউবোসহ সংশ্লিষ্টদের বারবার অনুরোধ করলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুলটি রক্ষা করা যায়নি। দ্রুত একটি ঘরের ব্যবস্থা না হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

সদিয়া চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ বলেন, শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নয়, ৫টি গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। যমুনার পানি বাড়া-কমার সঙ্গে এ অঞ্চলে তীব্র ভাঙন চলে। ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প অনুমোদন হলেও যথাযথ কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, কয়েক দিন আগেও যমুনা নদী থেকে স্কুল ভবনটি ২০-২৫ ফুট দূরে ছিল। কিন্তু কয়েক দিন নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি ভাঙন শুরু হয়। সকালে স্কুল ভবনের তলা ধসে ভাঙন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই ভবনটি হারিয়ে যায়। আমরা সার্বিক বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা মিল্টন হোসেন বলেন, ওই এলাকায় একটি স্থায়ী প্রকল্পের কাজ করবে পাবনার কৈতলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি শাখা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনার বেড়া কৈতলা নির্মাণ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজা বলেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চৌহালীর সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের মেহেরনগর থেকে এনায়েতপুর বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় আন্ডারওয়াটার ওয়েব প্রটেকশন কাজ করা হবে। টেন্ডার হয়েছে, কিন্তু ঠিকাদার সিলেকশন হয়নি। ইভ্যালুয়েশন চলছে। আশা করছি, আগামী জানুয়ারিতে কাজ শুরু করা যাবে।

সর্বশেষ খবর