বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদের শনাক্তে পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, তাদের শনাক্ত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসে সবসময় অপপ্রচার হচ্ছে। মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রিমিনালগুলো বিদেশে থাকার কারণে এদের সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কীভাবে তাদের শনাক্ত করা যায়, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আরও গভীরভাবে দেখব। তিনি বলেন, অপরাধীদের একটি ডেটাবেস হয়েছে। সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। মন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগে ঈদুল আজহাও সফলভাবে শেষ হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় তাদের অপতৎপরতা নিয়ে সরকার সচেতন আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক আছে, যারা মাদক কারবারে জড়িত। মাদক আনা, পাচার করা বা সরবরাহ করছে তারা। সেগুলোর ওপর আরও বেশি কঠোর নজরদারি রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, কিছু লোক এরই মধ্যে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। ধর্মের নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মতৎপরতা ও উন্মাদনা সৃষ্টিতে জড়িত সংগঠনের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে যাদের ধরা হচ্ছে, তারাও স্বীকার করে নিয়েছে। সেগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে অনেকটা শনাক্ত হয়েছে। বিএনপি মাঠে নামছে, সামনের দিনগুলোতে তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি দেবেই। তারা মিটিং, মিছিল ও জনসভা করবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু নেই। বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, দেশ থেকে টাকা পাচারের বিষয়ে ইদানীং আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। সেগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। ইতোমধ্যে অনেকে ধরাও পড়েছেন। মানি একচেঞ্জ-সংশ্লিষ্ট সাত শতাধিক প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ক্ষেত্রবিশেষ তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর