শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আগে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর

------- শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

আগে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি তো পরে। আগে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো ও নিরপেক্ষ সরকার গঠনের গণআন্দোলন গড়ে তোলার কাজ করছে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, ‘চাঁদপুরে মামলা-হামলায় বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী রাজনৈতিক মামলায় কারা বরণ করে এবং নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে দলকে সংগঠিত রাখছে। মামলা-হামলায় হয়রানিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে নেতা-কর্মীরা এখন ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছে। আমি নিজে ১৫-১৬টি মিথ্যা মামলায় জেল খেটে এখন সপ্তাহের পাঁচ দিন আদালতে হাজিরা দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আটটি উপজেলা ও সাতটি পৌরসভা কমিটি গঠন করায় জেলা বিএনপি এখন অনেক বেশি সুসংহত ও শক্তিশালী। আগামী ছয় মাসের মধ্যে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উপজেলা ও পৌর কমিটি সম্মেলন করে সম্পন্ন করা হবে। কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলা বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হলে আইন মেনে তা করা যাবে না। আমরা এখন কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি, আগামীতে আদালতে হাজিরা দেব কি না!’ তিনি বলেন, ‘প্রশাসন সব সময় এই অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ। তারা যখন আমাদের কর্মসূচিতে জনস্রোত দেখে, তখনই পিছু হটতে বাধ্য হয়। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়।’

মানিক বলেন, চাঁদপুর জেলায় বিগত চার-পাঁচটি কর্মসূচিতে সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরার কারণেই দলে জনসম্পৃক্ততা অনেক বেড়েছে এবং তা আগামীতে আরও বাড়বে।

জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, চাঁদপুরে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মিডিয়াসহ জনগণ সোচ্চার হওয়ায় ইতোমধ্যে কিছু সরকারদলীয় নেতা কারাগারে। বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে যারা এদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম, অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে যারা ভোটার হয়েছে, তারা এই ভোটচোর সরকারকে ভোট দেবে না। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে সাজা দেওয়ার বিষয়ে এই নেতা বলেন, ‘অবৈধ সরকারের আইনে দেওয়া সাজা কোনো সাজাই নয়। জনগণের কাছে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশমাতা আর তারেক রহমান মহানায়ক। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, খালেদা ও তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে- এ কথার যৌক্তিকতা অবশ্যই আছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর