শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

তদন্ত হওয়া প্রয়োজন

------ ড. সাদেকা হালিম

তদন্ত হওয়া প্রয়োজন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি না পরিয়ে আদালতে নেওয়ায় তাদের পালিয়ে যেতে দেখলাম! অন্যদিকে একজন রাজনৈতিক আসামিকে মায়ের জানাজা পড়ার সময় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হলো। এটা কোনোভাবেই একটা আধুনিক রাষ্ট্রের আইনি  আচরণ হতে পারে না। এসব ঘটনায় বিচার বিভাগের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্মান ক্ষুণ্ণ  হয়। সর্বোপরি মানবাধিকার বিষয়ে সাধারণ জনগণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়ে। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যতদূর জেনেছি আলী আজম রাজনৈতিক মামলার আসামি। রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার আসামির সঙ্গে সেভাবেই আচরণ করতে হবে। মায়ের জানাজা পড়তে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। আমাদের পরিচিত অনেককে দেখেছি, রাজনৈতিকভাবে গ্রেফতার হয়ে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্বজনের জানাজায় অংশ নিয়ে আবার চলে গেছেন। তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা রাজনৈতিকভাবে কারাগারে আছেন বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জেলে আছেন, আমরা তাদের পরীক্ষা নিতে কারাগারে যাই। সেখানেও কিন্তু ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পরীক্ষার আসনে বসতে দেয় না। আমরা তাদের গার্ড করে পরীক্ষা নিয়ে আসি। আর একজন রাজনৈতিক আসামি, যিনি নিজে তার মায়ের জানাজা পড়িয়েছেন, তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা সমর্থনযোগ্য নয়।

সাদেকা হালিম বলেন, কারাগার কিন্তু এখন শুধু বন্দিশালা নয়, এটা সংশোধনাগার। কোনোভাবেই এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়। একজন রাজনৈতিক মামলার আসামিকে মায়ের জানাজার সময় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। আইনের অনেক ধারা। ব্রিটিশ আমল থেকে অনেক আইন চলে আসছে। অনেক আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। দন্ডবিধির কোন ধারায় এমন ডান্ডাবেড়ি পরাতে পারি সেটা দেখা দরকার। আধুনিক রাষ্ট্রের আইনে এমনটা থাকার কথা নয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর