শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বিএনপি অফিসে অভিযান গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল শেষ করে বের হওয়ার সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ভিডিওচিত্র ধারণ করার সময় পুলিশ এনটিভির ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মেমোরি কার্ড নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার নগরীর কাজীর দেউড়ি নসিমন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দোয়া মাহফিল শেষ করে বের হওয়ার সময় পুলিশ সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।’ কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘দুপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পুলিশের ওপর হামলার আসামিরা  অবস্থান করছে এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা এবং অগ্নিসংযোগ মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, নগরের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, ইস্কান্দর মির্জা, এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলার এনামুল হক এনাম, ইফতেখার মহসিন চৌধুরী। এদিকে এনটিভির ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে সাংবাদিককে আটক করার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন।

 এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দীন তোতা প্রমুখ। এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমদ শাহ বলেন, বিএনপি কর্মীদের আটক করার ভিডিওচিত্র ধারণ করা হচ্ছিল। এ সময় পুলিশ ক্যামেরা নিয়ে মেমোরি কার্ড কেড়ে নেয়। এ ছাড়া দুই মিনিটের মধ্যে আমাদের আটক করারও হুমকি দেন ওসি। এ সময় ওসির নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেছেন, অভিযুক্ত ওসিকে অনতিবিলম্বে ক্লোজড করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এভাবে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে পুলিশের আচরণ কোনোভাবে কাম্য নয়। সাংবাদিক ও পুলিশ একই সঙ্গে মাঠে ময়দানে কাজ করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটছে কি না আমি জানি না। এ বিষয়ে খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর