বগুড়ার নন্দীগ্রামে হিরো আলমের ভোটকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিঞা এবং বুড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ প্রামাণিক নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেহের আলী ও রুবেল নামের দুজনকে আটক করে। তাদের হেফাজতে থাকা একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। বগুড়া-৪ আসনে সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বুড়ইল আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ প্রামাণিকের এলাকার ভোট কেন্দ্রে পাস করার তর্কে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য মাইক ভাড়া করতে ডেকোরেটর দোকানে যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ প্রামাণিক। তাকে ডেকোরেটর দোকানে দেখে স্থানীয় আরেক আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন হাসাহাসি করে বলেন আমার ধুন্দার ভোট কেন্দ্রে মশাল মার্কা পাস করল। তুমি কালিপদ কেমন আওয়ামী লীগ তোমার বীরপলী ভোট কেন্দ্রে হিরো আলম পাস করল। এ সময় দুই আওয়ামী লীগ নেতা বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কালিপদ ও আমজাদ অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনার পরই দুই পক্ষের মারামারি হয়।
খবর পেয়ে জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিঞা ঘটনাস্থলে গেলে তিনি নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।
তথ্যমতে, বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে নন্দীগ্রামের ধুন্দার হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ১৪ দল মনোনীত রেজাউল করিম তানসেন (মশাল) ৩২০ ভোট পেয়ে ওই কেন্দ্রে পাস করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম (একতারা) পান ৮৭ ভোট। ধুন্দার কেন্দ্রের ভোটার আমজাদ। তিনি বুড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গত সম্মেলনে ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে মশাল প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। একই ইউনিয়নের বীরপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হিরো আলম (একতারা) ২৯৪ ভোট পেয়ে পাস করেন এবং তানসেন (মশাল) ১১৬ ভোট পেয়েছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ প্রামাণিক বীরপলী কেন্দ্রের ভোটার।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় বুড়ইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ প্রামাণিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আটক দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
