শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজার দর

শীতের সবজি ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি

রাশেদ হোসাইন

শীতের সবজি ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি

কয়েক মাস ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। জরুরি পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। শীতের সবজি, ডিম, মুরগি, মরিচ ও মাংসের দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা অসহায়ত্বের চরমে পৌঁছেছেন। ফলে প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে গতকাল দেখা যায়, শীতের সবজি, ডিম, মুরগি, মরিচ ও মাংসের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য সব পণ্যের দাম। আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৪০-৫০, লম্বা ও গোল বেগুন ৬০-৮০, টমেটো ৩০-৪০ ও শিম ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৮০-১০০ কেজি। চালকুমড়া ৫০-৬০ ও লাউ প্রতিটি ৭০-৮০ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০-৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটোল ৬০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ৬০-৭০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১০০-১২০ ও ধুন্দল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি ৩০-৪০, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। তবে কিছুটা কমেছে আটার দাম

রামপুরা বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মাহবুব রহমান বলেন, কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহ থেকে বাড়তি। এই সপ্তাহে বেড়েছে। কাঁচামরিচের আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। বাজারে পিঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। এ ছাড়া বড় রসুনের কেজি ২০০ ও ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। বাজারে কমেছে আদার দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ ও খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া হাঁসের ডিমের ডজন ২২০। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। গরুর মাংসের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। রামপুরা বাজারের মাংস বিক্রেতা হালিম আহমেদ বলেন, গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। আমরা আগে যে দামে গরু কিনতাম এখন তা থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খামার ও গেরস্তের গরুর মালিকরা বলছেন, গোখাদ্য থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বাড়তি। এ কারণে গরুর দাম বেশি। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার-১ হাজার ১০০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম ৩১০-৩২০ ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়। রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. খায়রুল আলম বলেন, গত সপ্তাহের দামের থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। দাম বাড়তি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। আশা করছি রোজার আগে দাম কমবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর