তিন দশকের অপেক্ষা শেষে গণপূর্তের কাছ থেকে নিজস্ব ভবন বুঝে পেল এনবিআর। জাতীয় বাজেটের প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থের জোগান দিলেও রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির নিজস্ব ভবনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯২ সালে। সে বছর রাজস্ব ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় জমি। আর এরপরই শুরু হয় মামলার জটিলতা। এর মধ্যে পার হয় আরও ১০ বছর। ২০০২ সালে জমি বরাদ্দ পেলেও বুঝে পেতে লাগে ৬ বছর। ২০০৮ সালে একনেকে ৫ বছর মেয়াদি ১৪১ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। তবে জমি বুঝে পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় প্রকল্পের মেয়াদ। কাজ চলে যায় গণপূর্ত অধিদফতরের কাছে। এবার ভবনের নকশা পরিবর্তন করে বাড়ানো হয় পরিসর। এতে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫১ কোটি টাকা। পরে আরও একাধিকবার মেয়াদ বাড়ে। ঠিক হয় চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হবে প্রকল্পটি। এর মাঝে জটিলতা কম ছিল না। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) ছাড়াই ৩০ তলা ভিত্তির ওপর ভবন নির্মাণ শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। বিষয়টি গড়ায় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। সংশোধনী প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০ তলা নয়, ১২ তলা ভবন করতে হবে। কেননা কাছেই বিমানবন্দর।
গত ২৯ জানুয়ারি এনবিআরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদফতর। গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, ‘আমি এসে নতুন পরিকল্পনা সাজালাম। ভাবছিলাম কাজ শেষ হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরের সুযোগ আসবে। আমি সৌভাগ্যবান, কিছুটা হলেও কাজ করতে পেরেছি।’
কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ সর্বাধুনিক সুবিধা-সংবলিত ভবনটির মোট আয়তন ৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৭ বর্গফুট। প্রতিটি ফ্লোরের উচ্চতা ১৩ ফুট। বেজমেন্টের আয়তন ৬৬ হাজার বর্গফুট। নিচতলা থেকে চতুর্থতলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৪৪ হাজার বর্গফুট করে। পঞ্চম থেকে বাকি সব তলার আয়তন ৪৬ হাজার বর্গফুট।