সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় ওমরাহ পালন ২৪ মুসল্লির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে চতুর্থ কাফেলার ২৪ জন মুসল্লি দেশে ফিরেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। শনিবার রাত ১১টায় এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে মক্কা-মদিনায় রওনা হয়েছিলেন তারা। সৌদি আরবে ১৪ দিন অবস্থান                করেন ওই মুসল্লিরা এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বাজুস সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্থ ধাপে ওমরাহ পালন করে আসা হাজিরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

হাজীদের সংবর্ধনা জানাতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হুদা। ওমরাহ কাফেলায় ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতে চটপটি বিক্রেতা মো. মফিজুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরের মমিনপাড়ায়। বর্তমানে রাজধানীর খিলগাঁও শাজাহানপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, কোনোদিন যে মক্কা-মদিনায় যাব তা কল্পনাও করিনি। প্রায়ই নামাজে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতাম- মৃত্যুর আগে যেন আমার এ দুই নয়ন মক্কা-মদিনা দেখতে পারে। আল্লাহর কী হুকুম দেখেন, বাইতুল মোকাররমে ব্যবসা করে যে এ রকম একটা সুযোগ পাব এটা কখনোই ভাবিনি।

তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের উছিলায় আমরা আজকে ওমরা করে ফিরে আসতে পারছি। মক্কা শরিফে যখন দুই রাকাত নামাজ পড়লাম, হঠাৎ কইরাই আনভীর সাহেবের কথা মনে পড়ছে। তখন আমি হের লাইগা আর হের পরিবারের হগলের (সবার) লাইগা এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া করেছি।’

কাফেলার আরেক মুসল্লি বায়তুল মোকাররমের সামনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম। তিনি বলেন, আমাদের হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করায় সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাই। মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে এ ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, ২০২২ সালে আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১০৪ জন মুসল্লিকে ওমরা পালন করাব। কিন্তু সেখানে এ পর্যন্ত ১১০ জন মুসল্লি ওমরা পালন করেছেন। এ ছাড়া ২০২৩ সালে প্রতি মাসে ২৫ জন করে মুসল্লিকে ওমরা পালনে সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পাঠানোর পরিকল্পনা আছে বসুন্ধরা গ্রুপের। এর আগে, প্রথম কাফেলায় ২৬ জন মুসল্লি গত ১৮ ডিসেম্বর সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে আসেন। আর দ্বিতীয় কাফেলায় ৩৩ জন মুসল্লি গত ১১ জানুয়ারি ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে আসেন। তৃতীয় কাফেলায় ২৭ জন মুসল্লি গত ১৯ জানুয়ারি ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফেরেন। সৌদি আরবের উদ্দেশে ওমরাহ হজের প্রথম কাফেলাটি রওনা হয় গত ৪ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজনে করা হয়। একই সঙ্গে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সব ওমরাহ যাত্রীকে শুকনো খাবারসহ সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়। পরে কাফেলাটি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

সর্বশেষ খবর