ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে দুই ব্যক্তিকে গুলি এবং কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। রবিবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন বালিয়াকান্দির রাজকুমার সরকার ও সুরান সরকার। তারা কৃষক। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেন বালিয়াকান্দির পুষআমলা গ্রামের বাসিন্দা অশোক রায়।
অভিযোগে অশোক রায় বলেন, তিনি সমাধিনগর বাজারে সার, ডিজেল ও কীটনাশকের ব্যবসা করেন। তার বাড়ি পুষআমলা গ্রামে। রবিবার দুপুরে তিনি বাড়ির কাজ দেখভাল করছিলেন। তখন মোটরসাইকেল নিয়ে ছয়জন লোক তার নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে এসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মাধব ঘোষসহ ছয়জন আবারও এসে চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে তারা রাজকুমারের পায়ে গুলি করে। মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। সুরানও এ সময় পেটে গুলিবিদ্ধ হন। বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। অশোক রায় বলেন, ঘটনার পরপরই আহত দুজনকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সুরানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বালিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের ওপর হামলা করা হয়েছে তাদের দুজনেরই বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায়। কিন্তু গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে মধুখালী থানা এলাকায়। এ বিষয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।