নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে আটক ও মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ জনকে র্যাব-৫ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। বহুল আলোচিত এ ঘটনার তদন্তে র্যাব সদর দফতরের তদন্ত দল তাদের ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে সংযুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, ওই ঘটনা তদন্তে র্যাব সদর দফতর গঠিত কমিটি এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে। কমিটি এ অভিযানে যুক্ত প্রত্যেক র্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা তাদের দায়িত্বে ফিরে যাবেন।
র্যাব সূত্র জানায়, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি টিম জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাই পুরো বিষয়টি জানতে ওই টিমের ১১ জনকে
তলব করেছে একজন মেজরের নেতৃত্বে সদর দফতরের আইসি সেলের তদন্ত দল। ওই ১১ জনের মধ্যে একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্য সদস্য ও গাড়িচালকও রয়েছেন। গত সপ্তাহে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম-সচিব এনামুল হকের অভিযোগে ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে। আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ তোলে পরিবার। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাই কোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। তলব করেছেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। একই সঙ্গে র্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিলেন তাও জানতে চেয়েছেন। তবে সে অভিযোগ প্রসঙ্গে র্যাব বলছে, ৪৫ বছর বয়সী জেসমিনকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আটকের পর তাকেসহ আরও এক যুবককে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
