মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকায় ফিরছে মানুষ

এবার আসা-যাওয়ায় স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় ফিরছে মানুষ

রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। এবারের আসা এবং যাওয়া দুটোই ছিল স্বস্তিদায়ক। কোনো যানজট ছিল না, গাড়ি পেতে বা টিকিট পেতে ভোগান্তি হয়নি। সব মিলিয়ে দারুণ স্বস্তির হয়েছে আসা-যাওয়া।

গতকাল ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্টেশন, কমলাপুর রেলস্টেশন ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বেশি থাকবে আজ ও কাল বুধবার। ঈদ উপলক্ষে ১৯ এপ্রিল থেকে ছুটিতে ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই ছুটি শেষ হয় গত রবিবার। টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে অফিস খুলেছে গতকাল। খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। ফলে ঈদের পর প্রথম অফিস করতে রবিবার রাত থেকে অনেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে গতকাল সকালে বাস, ট্রেন এমনকি মোটরসাইকেলেও ঢাকায় এসেছেন। তবে ঈদের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে ফিরে আসা লোকের সংখ্যা খুবই কম ছিল। অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ২-৩ দিন ছুটি নেওয়ায় এখনো তারা ঢাকা ফিরতে শুরু করেননি। ফলে রাজধানীর আন্তজেলা বাস স্টেশনগুলোতে এখনো তেমন ভিড় নেই। সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশনসহ ঢাকার প্রবেশপথগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেকেই ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নেওয়ায় টার্মিনালগুলোতে ঢাকায় ফেরা লোকের চাপ নেই। যারা ফিরেছেন তাদের অনেকেই পরিবার নিয়ে ফিরছেন। আবার কেউ কেউ অফিসের তাড়া থাকায় পরিবার-পরিজন গ্রামের বাড়িতে রেখে একাই ফিরেছেন। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পেরে সবাই বেশ খুশি। সড়ক-মহাসড়কে কোনো যানজট নেই বলেও জানান তারা। একই সঙ্গে ট্রেনের সিডিউলে কোনো রকম বিপর্যয় ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য ফিরছেন যাত্রীরা। রাজধানীর কমলাপুর বাসস্টেশনে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক আহমদের সঙ্গে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ভোরে রওনা দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় কমলাপুর এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, মাত্র বাস থেকে নামলাম। সকাল ১০টা থেকে মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় অফিস করতে হবে। ফলে এখান থেকে সরাসরি অফিসে চলে যাব। ঈদের কমন ছুটির বাইরে বাড়তি কোনো ছুটি না পাওয়ায় অফিস শুরুর প্রথম দিনই চলে আসতে হলো। অন্যদিকে, একই স্টেশনে কথা হচ্ছিল আরেক যাত্রী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি ফেনী গিয়েছিলাম। আজ থেকে অফিস শুরু হওয়ায় গ্রামের বাড়ি থেকে একাই ফিরে এসেছি। আগামী শুক্রবার গিয়ে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসব। এ ছাড়াও সায়েদাবাদ বাস স্টেশনে কথা হচ্ছিল ফারহানার সঙ্গে। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে নোয়াখালী গিয়েছিলাম। ঈদের ছুটির সঙ্গে একদিন বাড়তি ছুটি নিয়েছিলাম। ফলে মঙ্গলবার থেকে অফিস করতে হবে। তাই একদিন আগেই ঢাকায় চলে এলাম। রাস্তায় তেমন কোনো যানজট নেই। তবে বাড়তি গাড়ির কিছুটা চাপ দেখা গেছে। তার পরেও অনেকটা আরামেই আসতে পেরেছি। এ ছাড়াও অনেককে মোটরসাইকেলে গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। কমলাপুর সোহাগ কাউন্টারের কর্মকর্তা জুয়েল বলেন, আজ (সোমবার) ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন। অনেকেই বর্ধিত ছুটি উদযাপন করছেন প্রিয়জনদের সঙ্গে। যে কারণে রাজধানীতে ফিরে আসা যাত্রীর সংখ্যা এখনো অনেক কম। ফলে আমাদের বাসের সব সিট ফিলাপ হচ্ছে না। আজ বা কাল বুধবার থেকে হয়তো ভিড় শুরু হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর