কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চারটি বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশের পাঁচটি দল একযোগে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ হত্যাযজ্ঞের মূল কারণ এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে পরিষ্কার না হলেও চারটি বিষয়ের মধ্যেই সব উত্তর রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চারটি বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই চারটি বিষয় হচ্ছে- নিহতরা জলডাকাত হতে পারে, ক্ষুব্ধ জেলেরা তাদের হত্যা করেছে। নিহতরা জেলে হতে পারে, ডাকাতরাই তাদের হত্যা করেছে। জলডাকাতদের বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ হত্যাযজ্ঞ হতে পারে। সর্বশেষ কারণটি হলো- মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান লুট নিয়েই এই হত্যাযজ্ঞ ঘটতে পারে। এদিকে চারটি কারণের মধ্যে সর্বশেষটিই প্রকৃত কারণ বলে মহেশখালী উপজেলার অধিকাংশ জেলে, সাধারণ মানুষ মনে করছেন। পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাগরে সুনির্দিষ্ট কোনো ট্রলারে ডাকাতির কোনো তথ্য পুলিশের কাছে কেউ জানাননি। উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা ট্রলারটি নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে।
আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে উদ্ধার হওয়া ছয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়ে গেছে চারজনের লাশ ও কংকাল। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ পাঁচজনের পরিচয়।