সাভারের বিরুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় এলাকাবাসীর সঙ্গে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিরুলিয়ার খাগানের কাজল গার্মেন্ট রোডে দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে দেড় শতাধিক দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এলাকাবাসী প্রতিরোধ করতে চাইলে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। হামলায় আহত দোকানি সোহাগ বলেন, ‘হঠাৎ শতাধিক ছেলে কাজল গার্মেন্ট রোড দিয়ে ভাঙতে ভাঙতে আসে। এ সময় আমার দোকানে এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে দোকানের বাইরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি আগুন নেভাতে গেলে লোহার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।’ ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক রহিমা আক্তার বলেন, ‘সোমবার রাতে রিকশাওয়ালার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝামেলা হয়েছিল। সেটা নাকি মিটেও গেছে। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। অনেক দোকান ভেঙেছে, মার্কেটে হামলা করল, আমরা কী দোষ করেছি? বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মুদি দোকানে গিয়ে এর মালিককে মারধর করেছে। এ সময় দোকানের ২০ কর্মচারী মারধরের শিকার হয়। একপর্যায়ে তারা দোকানে হামলা চালিয়ে টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’
ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, দোকানের সিসি ক্যামেরায় হামলার ঘটনাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, এখানে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সাভার মডেল থানার ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় সেটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মীর আক্তার হোসেন বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।