শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুরের ধারায় ছায়ানটে মূর্ত জাতীয় কবি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সুরের ধারায় ছায়ানটে মূর্ত জাতীয় কবি

ছুটির দিনের শুক্রবার। জ্যৈষ্ঠের দুপুরের উত্তাপ শেষে গোধূলিলগ্নে শীতল পরিবেশ নেমে আসে প্রকৃতিতে। তবে সাঁঝের বেলায় সেই শীতলতায় উষ্ণতা ঢেলে দেয় দ্রোহ, প্রেম, মানবতার কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরের ধারা। সন্ধ্যামালতী, বনকুন্তলা, বেণুকা, রূপমঞ্জরীসহ বহু রাগের অনবদ্য পরিবেশনার সুরে মিলনায়তনে শুধু উষ্ণতাই ছড়িয়ে পড়েনি, মূর্ত হয়ে ওঠেন কাজী নজরুল। রাগাশ্রয়ী গজল, ভজন আর প্রেমের গানে সন্ধ্যার আসরকে অনন্য করে তোলেন শিল্পীরা। সুরের ধারা বইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নৃত্যের শৈল্পিক মুদ্রায় ছুটির দিনের সন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে উপভোগ্য।

এমন চিত্রকল্পই ছিল নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে ছায়ানটের দুই দিনের নজরুল উৎসবের শেষ দিনে। গতকাল সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে শেষ হয় দুই দিনের এই আসর। অনুষ্ঠানে কবির কবিতা ছাড়াও বিভিন্ন গানের অংশবিশেষ থেকে পাঠ করেন দেশবরেণ্য বাচিকশিল্পীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে’ গানের সঙ্গে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। পরে ‘নবরাগ’ ‘গীতি-আলেখ্য’ পর্বে নজরুলের রাগাশ্রয়ী গানগুলোর অংশবিশেষ পাঠ করেন জহিরুল হক খান। সমাপনী আসরে সংগীত পরিবেশন করেন- শাহীন সামাদ, প্রমিতা দে, ইয়াকুব আলী খান, বিভাস রঞ্জন মৈত্র, ধ্রুব সরকার, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, মনীষ সরকার, কানিজ হুসনা আহম্মদ, বিটু কুমার শীল, অনামিকা সরকার সোমা, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, রেজাউল করিম, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া ও সুমন মজুমদার। ‘পায়েলা বোলে রিনিঝিনি’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ওয়ার্দা রিহাব ও তার দল। কবিতা আবৃত্তি করেন নাসরিন আক্তার রেখা ও হাসিব বিল্লাহ্। এতে আরও ছিল শিশুশিল্পীদের পরিবেশনা। যথারীতি জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়েই শেষ হয় নজরুলজয়ন্তী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয় দুই দিনের এ উৎসব।

সর্বশেষ খবর