শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
চার সিটিতে ভোট চ্যালেঞ্জ

ভোটে নেই, তবু আরিফে চোখ আনোয়ার-বাবুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ভোটে নেই, তবু আরিফে চোখ আনোয়ার-বাবুলের

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে ছিল ব্যাপক কৌতূহল। দলীয় সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে মেয়র পদে তিনি ফের প্রার্থী হন কি না, তা নিয়ে ছিল নানা কানাঘুষা। তবে হ্যাটট্রিক জয়ের জন্য আর প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন সিসিকের টানা দুবারের এই মেয়র। এরপর আরিফকেন্দ্রিক আলোচনায় কিছুটা ভাটা পড়লেও ফের তা তুঙ্গে উঠেছে দুই মেয়র প্রার্থীর তৎপরতায়। আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আর জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ছুটে গেছেন আরিফের কাছে, নিয়েছেন পরামর্শ। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনে না থাকা আরিফ আবারও দৃশ্যপটে হাজির হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২১ জুন সিসিকের পঞ্চম নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন বর্জন করছে বিএনপি। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন পাঁচজন। আরও তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। তবে ভোটের লড়াই মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যেই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অভাবনীয় কিছু ঘটলে চমক দেখাতে পারেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও। সংশ্লিষ্টরা জানান, সিসিকের গত দুই নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। এবার তার সামনে হ্যাটট্রিক জয়ের সুযোগ ছিল। তবে দল নির্বাচন বর্জন করায় তিনিও শেষাবধি প্রার্থী হননি। অবশ্য প্রার্থী হওয়ার আগ অবধি ধরে রেখেছিলেন নাটকীয়তা। লন্ডন আর ঢাকা ঘুরে এসে গত ২০ মে নাগরিক সমাবেশ করে সিসিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আরিফ। দলীয় নেতা-কর্মী ও নগরবাসীকেও ভোট বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনে না থাকলেও সিসিকের ভোটের লড়াইয়ে আরিফুল হক চৌধুরী অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাবস্থায় টানা দুই মেয়াদে মেয়র হয়েছেন তিনি। ফলে ভোটের মাঠের কলাকৌশল সম্পর্কে তিনি বেশ অভিজ্ঞ। অন্যদিকে সিলেটে দলীয় রাজনীতিতে আরিফের রয়েছে নিজস্ব বলয়। তার অনুসারী বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী রয়েছেন। তাছাড়া নগরবাসীর মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা আছে। এমন প্রেক্ষাপটে আরিফের ‘সুনজর’ আশা করছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তারা মনে করছেন, আরিফকে যদি নিজেদের দিকে টানা যায়, তাহলে ভোটের মাঠে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি যদি তার অনুসারীদের কারও পক্ষে ভোট দেওয়ার নীরব ইঙ্গিত দেন, তাহলে লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে থাকা যাবে বলে মনে করছেন আনোয়ার ও বাবুল। জানা গেছে, গত রবিবার সকালে মেয়র আরিফের বাসায় যান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সেখানে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেন তারা। সেদিন রাতে আরিফের বাসায় হাজির হন নজরুল ইসলাম বাবুল। জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতাও তার সঙ্গে ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, উভয় প্রার্থীই আরিফের মন গলানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি যাতে তাদের সহযোগিতা করেন, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে কোনো নেতাই স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হননি। আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমান মেয়র। তার কাছে দোয়া নিতে বাসায় গিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, সিটি নির্বাচন, সাম্প্রতিক রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আমরা আলোচনা করেছি। বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, তারা আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এখানে ‘অন্য কিছু’ নেই। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করছে, আমি প্রার্থী হইনি। ফলে এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর