নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মোশা বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। অবৈধভাবে ভারতে পালানোর জন্য সহযোগী দেলোয়ারকে নিয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে আত্মগোপন করেন। তবে দেশত্যাগের আগেই তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, হত্যা, ধর্ষণ, অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, চাঁদাবাজি, মাদক, প্রতারণাসহ অন্তত ৪০ মামলার আসামি এই শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোশারফের নেতৃত্বে দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, জমি দখল, মাদক কারবারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। মোশার দলের সদস্য সংখ্যা ৭০-৮০ জন। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন। মোশারফ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য তিনি ‘মোশা বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন।