এম এস ছামি অ্যান্ড ছাবিদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ২২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। জেজেএন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে রাজধানীর রামপুরার আরেকটি প্রতিষ্ঠান ১০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। এটি যাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে সে লক্ষ্যে আবেদনের ওপরে একজন সংসদ সদস্যের ভিজিটিং কার্ডও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপূজা সামনে রেখে ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্যে গত কয়েক দিনে এ ধরনের অসংখ্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ইলিশ রপ্তানি নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। শুধু দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১৫ দিন বা এক মাসের জন্য আমরা কিছু ইলিশ পাঠাই (ভারতে)। সারা বছর প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয় দেশে। তা থেকে আমরা বড়জোর ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠাতে পারি। এটি আমাদের দুই দিনের উৎপাদনও না। রপ্তানির জন্য এবার প্রথমবার আবেদন করেছেন জেজেএন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মেহেদি হাসান।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, অনুমোদন পেলে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেবেন। সে ক্ষেত্রে তারা যদি আড়ত থেকে ইলিশ সংগ্রহ করেন তবে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় সংগ্রহের চেষ্টা করবেন। এতে প্রতিটি মাছের রপ্তানি মূল্য ১ হাজার টাকার কাছাকাছি হতে পারে বলে জানান তিনি। ইলিশ রপ্তানির আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা। গত বছর অনেক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন নিয়েও যথাযথভাবে রপ্তানি না করায় এবার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। রপ্তানি নিশ্চিত করতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দফায় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও অনেকেই তা করেনি। এ কারণে এবার যাতে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে পণ্যটি রপ্তানি করে সে বিষয়ে নজরদারি চালানো হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আবদুর রহিম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমাদের কাছে অনেক প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আবেদন করেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। আজকালের মধ্যে রপ্তানির অনুমোদন দিয়ে সার্কুলার জারি করা হবে বলে জানান তিনি।