স্কুল ক্যাম্পাসে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে নানান ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাসের জলজ কর্নার শাপলার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গাছে গাছে গোলাপসহ নানান ফুলে সেজেছে স্কুল ক্যাম্পাস। প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ আর বেসিক শিক্ষা গ্রহণে ডিজিটালের ছোঁয়া ছাড়াও সৃজনশীল কাজে একদিকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া থেকে রক্ষা অপরদিকে সবার কাছে মডেল হয়েছে দিনাজপুরের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী ‘সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’। এখন ক্যাম্পাসে সুবাসিত নান্দনিক বাগান এবং একই সারিতে স্মৃতিসৌধ ও ‘শহীদ মিনার’ আর মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র সবাইকে আকর্ষণ করছে। লাল-সবুজ এ ক্যাম্পাস নতুন কিছু করার স্বপ্নও দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে। দেশের প্রথম কোনো স্কুলে একই সঙ্গে স্মৃতিসৌধ ও ‘শহীদ মিনার’ আর এর মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র। স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার এবং মানচিত্রকে স্থান দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আত্মদানের চেতনাবোধকে অনুধাবন এবং হৃদয়ে ধারণ করতে পারবে এ অভিপ্রায়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা এই বেদির সামনে দাঁড়িয়ে পিটি প্যারেড করবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত স্মৃতিসৌধটির প্রস্থ ১৫ ফুট ও উচ্চতা ২২ ফুট।
সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় জানান, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেসিক শিক্ষার সবকিছু ছাড়াও প্রাকৃতিক ও ডিজিটাল মাধ্যমের ছোঁয়া দিয়ে গড়ে তুলতে চাই। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবার কাছে যেন মডেল হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে ক্লাসরুমগুলো ডিজিটাল করা হয়েছে। মাল্টিপল প্রতিটি ক্লাস রুমে রয়েছে শিক্ষার্থীদের অধ্যায় অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ। পুরো ক্যাম্পাস ডিজিটালের আওতায় নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টি ব্যতিক্রমধর্মী ২ টাকার ব্যাংক চালু এবং শিক্ষার্থীরা হস্তশিল্প শিখে নিজেদের খরচ জোগানোর স্বনির্ভরতার পথে উদ্যোগী করার ফলে ঝরে পড়া রোধ করে প্রায় শূন্যের কোঠায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে স্কুলটি। হস্তশিল্প তৈরি এবং বিপণন, ল্যাবে বিজ্ঞান উপকরণ বক্স, বিজ্ঞান ক্লাব, লেখাপড়া, খেলাধুলায় প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কারসহ ভালো কাজে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনের নানা কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধসহ শিক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখছে। খেলাধুলাতেও তারা পিছিয়ে নেই। যা দেশের অন্য স্কুলের জন্য মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কুলটি।