স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেছেন, প্রধানত পাঁচটি উৎস বাংলাদেশে বায়ুদূষণে বেশ সক্রিয়। এক সময় এর প্রধানতম উৎস ছিল ইটের ভাটা। আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে ইটের ভাটা প্রায় ৫৮ ভাগ বায়ুদূষণ করত। সে হিসেবে সময়ের সঙ্গে ইটের ভাটা থেকে বায়ুদূষণের পরিমাণ কমেনি। একই রকম আছে। কিন্তু অন্য যে উৎসগুলো ছিল সেগুলো থেকে বায়ুদূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ইটের ভাটায় যে দূষণ হওয়ার কথা তা কম মনে হচ্ছে। যদি অন্য উৎসগুলোর কথা বলি, যে নির্মাণকাজ হয় সেখানে সংশ্লিষ্ট নির্মাণবিধি মেনে কাজ না করার কারণে যে বায়ুদূষণ হচ্ছে তা ইদানীং বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্মাণকাজ থেকে ৩০ শতাংশের মতো বায়ুদূষণ হচ্ছে। আর ইটভাটা ও অন্য শিল্প-কারখানা থেকে প্রায় ২৯ ভাগ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ি থেকে প্রায় ১৫ ভাগ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। আর ট্রান্সবাউন্ডারি সোর্স থেকে প্রায় ৯ থেকে ১০ ভাগ বায়ুদূষণ হচ্ছে। গৃহস্থালির রান্নার জন্য প্রায় ৯ ভাগ বায়ুদূষণ হয়। অবর্জ্য পোড়ানোর কারণে প্রায় ৮ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এ উৎসগুলো সারা বছরই কমবেশি সক্রিয় থাকে। শুষ্ক মৌসুম আসতেই তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন কারণে বায়ুদূষণ বেশি অনুভূত হয়। তবে বর্ষার সময় বৃষ্টির প্রভাবে বায়ুদূষণ কিছুটা কম অনুভূত হয়। ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, সারা দেশের কথা যদি চিন্তা করি তাহলে বায়ুদূষণের জাতীয় যে মানমাত্রা রয়েছে সেটি হলো- বছরে প্রতি ঘনমিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত, এটি আমাদের অনুমোদিত মানমাত্রা। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে, আমাদের এখানে বছরে ৮০ মাইক্রোগ্রামের মতো বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। সে হিসেবে বলা যায় যে, প্রায় আড়াই গুণ বেশি বায়ুদূষণ থাকে। যদিও ডব্লিউএইচওর মানমাত্রা ১০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ ডব্লিউএইচওর মানমাত্রা থেকে প্রায় আট গুণ বেশি বায়ুদূষণ থাকে। শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কম থাকে এবং এই পাঁচ মাসে সারা বছরের ৬০ ভাগ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। বাকি সাত মাসে সারা বছরের ৪০ ভাগ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এজন্য বলা হয় যে, শুষ্ক মৌসুমে যদি আমরা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে মানুষকে বায়ুদূষণ থেকে বাঁচানো যাবে। তিনি বলেন, আমাদের যে জিওগ্রাফিক্যাল লোকেশন ও মেট্রোলজিক্যাল কন্ডিশন, সেখানে বছরে সাত মাসই বৃষ্টিপাতের কারণে বায়ুদূষণের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়। বাকি চার মাসের জন্য আমরা বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। আমাদের ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলার কোনো প্রয়োজন নেই। যদি ফিটনেস আছে এমন গাড়ি রাখি এবং ভালোমানের গণপরিবহন চালু করতে পারি, এ ক্ষেত্রে যে ১৫ ভাগ বায়ুদূষণ হয় সেটি অনেক কমে আসবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর আমাদের প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ বায়ুদূষণ কমে এসেছে। একটি রুটে যানবাহন চলাচল কমে আসায় এই ফল। অন্য রুটগুলোতে মেট্রো চালু হলে বায়ুদূষণ আরও কমে আসবে। এ ছাড়া নির্মাণবিধি মেনে যদি আমরা নির্মাণকাজ করতে পারি, যেমন- রাস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী ফেলে না রাখি এবং ঢেকে নির্মাণসামগ্রী পরিবহন করি, তাহলেও বায়ুদূষণ কমাতে পারব। এ ছাড়া ইটের ভাটা ও ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ছাড়া যে কারখানাগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। শিল্প-কারখানায় বায়ুদূষণ নিরোধক যন্ত্র বসাতে হবে। আর ইটের ভাটায় পোড়ানো ইটের বদলে ব্লক ইট ব্যবহার করতে হবে।
শিরোনাম
- মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
- আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
- প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
- বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
- খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
- ‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
- প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
- গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’