আগস্টের ৫ তারিখে হাজারো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পূর্ণ তালিকা এখনো তৈরি হয়নি। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের গুন্ডাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে অনেক ছাত্রকে হত্যা করেছে। এই শহীদ ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছি। গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আশিকের বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এখন দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মাণের পালা। গণতন্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা এই শহীদদেরকে যেন স্মরণ রাখি যেটা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে হয়েছে। তরুণরা জীবন দিয়েছে নতুন একটা বাংলাদেশের জন্য। সেই বাংলাদেশের মানুষ যাতে মানুষের মর্যাদা পায়। আমাদের এই তরুণরা যারা প্রাণ দিয়েছেন শহীদ হয়েছেন তারা যাতে জাতীয় বীরের মর্যাদা পায়। তাদের পরিবারের দায়িত্ব যাতে সরকার নেয়। শুধু এই সরকার নয়; আগত প্রত্যেকটি সরকার যাতে সেই দায়িত্বের জায়গাটাতে থাকে এটা আমরা সব জায়গায় তুলে ধরেছি। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার শহীদদের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করবে- তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদায় সামনে আনবে। তাদের সব পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করছি। আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্মাণে যাতে এই শহীদদের রক্তের প্রশ্ন এবং আমাদের এত আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই অর্জন এটা যাতে কেউ কোনোভাবে নস্যাৎ করতে না পারে সেই জায়গায় আমাদের থাকতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণত্রন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে গণতন্ত্রের পথে আমরা হাঁটতে না পারলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে। ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের খুনিদের ও নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে যে কোনো মূল্যে। যারা আহত হয়েছে সরকারের উচিত তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। ছাত্রদের আন্দোলনে যে জোয়ার তৈরি হয়েছিল সেখানে সেও গিয়েছিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আশরাফ হোসেন কাজল, বিএনপি নেতা কামাল হোসেন প্রমুখ।