সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান তারা। এ সময় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সাংবাদিক হত্যার বিচার, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সাংবাদিক নেতাদের নামে বানোয়াট নিউজ পরিবেশনের প্রতিবাদ জানানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, দ্য নিউনেশনের সাবেক এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, সাবেক সহসভাপতি জাহিদুল করিম কচি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি খালেকুজ্জামান সালেক, মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান, সাংবাদিক নেতা বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ, শাহীন হাসনাত, খন্দকার আলমগীর, সাঈদ খান প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম। সমাবেশে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পর কোনো দাবিদাওয়ার জন্য রাজপথে নামতে হবে- এটা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। সাগর-রুনির হত্যার বিচার চাইতে হবে কেন? কেন আপনারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না? কেন কোনো পুলিশের ইনকোয়ারি করেন নাই, তা বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে।
কবি আবদুল শিকদার বলেন, ১২ বছরেও সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হওয়া দুঃখজনক। গত ১৫ বছরে ৬৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি খুনের শিকার সাংবাদিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার ১২ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কোনো বিচার পাইনি। যেহেতু ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, তাই বর্তমান সরকারকে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যেমন সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চাই, ঠিক একইভাবে আর কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে গিয়ে যেন কোনো সাংবাদিক আহত না হয় সেটাও চাই।