বরিশাল নগরীতে অসময়ের তরমুজ উঠেছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও কিনতে পারছেন না। নগরীর ভ্রাম্যমাণ তরমুজ বিক্রেতা সুখদেব মন্ডল বলেন, তিন-চার দিন ধরে নগরীতে তরমুজ বিক্রি করছি। এসব তরমুজ যশোর-খুলনা অঞ্চল থেকে এসেছে। অসময়ের তরমুজ দেখে ক্রেতারা ভিড় করে। কিন্তু দাম শুনে ফিরে যায়।
সুখদেব বলেন, তারা প্রতি কেজি তরমুজ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন। প্রতিটি তরমুজ তিন থেকে চার কেজি ওজনের হয়। এতে একেকটির দাম ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা হয়। গতকাল সকালে ২৩টি তরমুজ বিক্রি করতে এনেছিলেন। বিকাল পর্যন্ত ১০টি বিক্রি করেছেন। দাম কম হলে সব বিক্রি হয়ে যেত। সদর রোডের এক দোকানের কর্মচারী ক্রেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, এই অসময়ে তরমুজ কিনতে গিয়ে দাম বেশি দেখে কিনতে চাইনি। পওে ২০০ টাকা দিয়ে একটি কিনেছি। বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের সাফা ফলের আড়তের মালিক সবুজ ফরাজী বলেন, তার আড়তে তিন মাস ধরে খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর থেকে পাইকাররা তরমুজ নিয়ে আসছেন। তিনি শুধু আড়তদারি পেলেও পাইকাররা প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। বরিশাল কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক বলেন, বর্তমানে অসময়ের তরমুজ চাষ বাড়ছে। বিদেশ থেকে আসা হাইব্রিডসহ দেশীয় বারি ১ ও ২ জাতের চাষ হয়। বর্তমানে মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।