সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। কথিত উন্নয়নের নামে দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের অবসান চায়। বর্তমান সরকার জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
গতকাল সকালে সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদোর নেতৃত্বে¡ চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপদেষ্টা বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জাইকার সমর্থনের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলের দায়িত্বে নিয়োজিত এই উপদেষ্টা আরও বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে সরকার বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন অ্যাক্টের (বিইআরসি) বিতর্কিত ৩৪(ক) ধারা বাতিল করে উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ক্ষেত্রে কাউকে কোনো বিশেষ সুবিধা প্রদান না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের গ্যাস সংকট উত্তরণে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে, মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন (কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০) অতিদ্রুত চালুসহ সড়ক, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পগুলোতে জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা চান।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী, ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।