কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কটির আমিরাবাদ এলাকা থেকে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত এ যানজট দেখা গেছে। তীব্র গরমের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
মাইক্রোবাসের চালক ও দাউদকান্দির পেন্নাই গ্রামের আবুল কালাম জানান, সিএনজি গ্যাস নিতে ভোর থেকে মহাসড়কটির আশপাশের পাম্পগুলোতে পৌঁছাতে উল্টো পথে চলাচল করছে অসংখ্য যানবাহন। এ ছাড়া ছুটির দিনে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে দাউদকান্দির আমিরাবাদ এলাকায় যানজটে আটকে ছিলেন ঢাকা থেকে নোয়াখালীর রামগঞ্জগামী আল বারাকা পরিবহনের বাসচালক পারভেজ হোসেন। তিনি জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা সেতু এলাকা থেকে যানজটের কবলে পড়েন তিনি। ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রমে সময় লাগে আধা ঘণ্টার মতো। তবে আজ লেগেছে আড়াই ঘণ্টার বেশি।
সকাল ৭টার দিকে বাসে করে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়িতে রওনা দেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দিনমজুর মো. মাইনউদ্দিন, চাকরিজীবী ও দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারের বাসিন্দা রাজীব মিয়া। তারা বলেন, সোনারগাঁয়ের মেঘনা সেতু এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েন তারা। এরপর তীব্র যানজটের কারণে মহাসড়কটির ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করতে মাত্র ৫০ মিনিট সময় লাগে। এদিকে দাউদকান্দির ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান মিয়া ও সোহাগ মিয়া জানান, ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে মহাসড়কটিতে তীব্র যানজটে আটকা পড়েন তারা। পরে ১০ কিলোমিটার হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান। মহাসড়কটিতে চলাচলকারী একাধিক চালকের ভাষ্য, যানবাহনগুলো উল্টো পথে চালাতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি করেন চালকেরা। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, উল্টো পথে যানবাহন চলাচল এবং শুক্রবার ছুটির দিনে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে থানা-পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে দায়িত্বপালন করেন।