মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি ভারতে দেশের পাশেই আছেন। সুযোগ পেলেই দেশে আসবেন। লক্ষ-কোটি মানুষ আপনার অপেক্ষায় আছে। আসেন। তিনি বলেন- শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রেতাত্মারা এখনো আছে। তারা আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে গতকাল দুপুরে খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় শাখার আয়োজনে নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক নাই। আসলে বাংলাদেশে কোনোদিন কোথাও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সত্যিকার ঘটনা নাই। যেটা হতো সেটা নাটক। এই নাটকের কলাকুশলী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দোসররা। তারা রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর ছোবল মারত। দিনের বেলা ওরাই আবার ওঝা হয়ে ঝারতে আসত। এখন শেখ হাসিনাও নাই নাটকও নাই। আওয়ামী লীগও নাই কাল নাগিনীও নাই। ইসলাম প্রিয় জনতা, হেফাজতে ইসলামসহ সব ইসলামী সংগঠনের প্রধান দায়িত্ব হলো- সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। প্রশাসন কী করবে, না করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন- শেখ হাসিনার দলীয়করণের কারণে পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে। এর থেকে পুলিশ বাহিনীকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের জন্য নিরপেক্ষভাবে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে হবে।
ইতিহাস টেনে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ’৭১ থেকে ’৭৫ সাল শেখ মুজিবের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ’৭১ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত ৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বেশি যুবককে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ নিপীড়িত হয়েছে। ’৭১ সালের ৯ মাসে আমার মায়ের বুক খালি করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। ’৭১ থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত আমার ৩০ হাজার মায়ের বুক এবং কোলখালি করেছিল কারা? বাকশালীরা।