বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসন আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কোথাও গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ ছিল না। এটি পুরো জাতি লক্ষ্য করেছে। ছাত্রলীগ দেশের উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠগুলো সব সময় অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তাদের তা বে অন্য কোনো ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করার সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে হত্যাকা সহ ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ছাত্রলীগের কারণে ছাত্ররা বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এসব কারণে ছাত্রছাত্রীরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নয় বরং এর যৌক্তিক সংস্কার চায়।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্রলীগ সমস্ত শক্তি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতারাও শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগকে। এমন দৃশ্য দেখে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।
এ ছাত্রনেতা বলেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে জাতীয় নেতৃত্বে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে না। ফলে পুরো জাতি বঞ্চিত হবে। তাই আমরা ছাত্র রাজনীতির সংস্কার চাই। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংস্কার হতে পারে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে ছাত্র রাজনীতির শুদ্ধ চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি হতে হবে। এর নাম সংস্কার। যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে ছাত্রদের অধিকার ও আকাক্সক্ষা পূরণে ছাত্র সংগঠন যদি ভূমিকা পালন করতে পারে তবে ছাত্ররাও তখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে কথা বলবে। এজন্য ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে মাঠের ছাত্র রাজনীতি করবে।
তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতি চর্চার সংগঠন। এটি সব সময় ছাত্রদের অধিকার ও ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলন করে আসছে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ে যে কোনো যৌক্তিক ইস্যু, আন্দোলনে শিবির অংশ নিয়েছে। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে একটি সুন্দর, সোনালি ক্যাম্পাস হতে পারে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ থাকতে পারে। এটি আওয়ামী অপশাসনামলে ছাত্ররা কখনো দেখেনি। ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের এ পরিবেশ উপহার দিতে চায়।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে বুয়েট, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে হত্যা করেছে তারা। বুয়েটে আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে। এসবের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি।