সরকার দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সে অনুযায়ী খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। অথচ বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আর ডিমের ডজন বিক্রি হওয়ার কথা ১৪৩ টাকা, বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। ডিমের দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও তাতে পাত্তাই দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। ক্রেতারা জানান, গত দুই দিনের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা-খিলক্ষেত এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন তেজগাঁওয়ের ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রায় ৩৭ টাকা বেশি। অন্যদিকে ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের ডজনও অধিকাংশ বাজারে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও অবশ্য ১০ টাকা কমেও পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে গত সপ্তাহে সাদা ডিমের ডজন ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ব্যাপক ক্ষোভের কথা জানা যায়। তাদের দাবি, ডিমের বাজারে এখনো শক্ত একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। আওয়ামী লীগের পতন হলেও বর্তমান সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তা না হলে সরকার দাম নির্ধারণের ১৫ দিন চলে গেলেও কেন কার্যকর হয়নি। শরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের মতো যারা নিয়মিত মাছ-মাংস খেতে পারি না, তাদের জন্য ডিমই ছিল ভরসা। এখন দেখি দিন দিন এর দামও বাড়তে শুরু করেছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী- গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৬ টাকায়। এতে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। টিসিবির হিসাবে এক সপ্তাহ আগেই তা ছিল ৫৩-৫৫ টাকা (তখনো প্রতিটি অন্তত ১৩ টাকা ২৫ পয়সা) হালি করে। এক মাস আগে দাম ছিল ৫০-৫৩ টাকা হালি। গত বছর এ সময় ডিমের হালির দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে ডিমের সংকট নিয়ে ক্ষুদ্র খামারিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো সংকট নেই। বরং করপোরেট প্রতিষ্ঠান এবং তেজগাঁওয়ের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। বাংলাদেশ পোলট্র্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে ডিমের কোনো সংকট নেই। বন্যার কারণে কিছু অঞ্চলে উৎপাদন কমলেও অন্যান্য স্থানে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। করপোরেট ও তেজগাঁওয়ের পাইকাররা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। এ ছাড়া ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার প্রধান কারণ ফিডের দাম কয়েক দফা বৃদ্ধি। সিন্ডিকেট ধরে আইনের আওতায় আনলে বাজার স্বাভাবিক হবে এবং ক্ষুদ্র খামারিরা দাম পাবেন। এতে করে জনগণও কম দামে খেতে পারবে।
শিরোনাম
- শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
- মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
- ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
- ফটিকছড়িতে মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
- ‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
- মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
- নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে : মির্জা ফখরুল
- জাতির মুক্তি হয়েছিল এই ৭ নভেম্বর : রিজভী
- অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
- রংপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি
- শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে : দুলু
- গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
- অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করছে : মির্জা ফখরুল
- সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
- আমজনতার দলকে নিবন্ধন দিলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : নাছির
- শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
- হাতিরঝিলে চলন্ত সিএনজি অটোরিকশায় আগুন, প্রাণে রক্ষা তিনজনের
- জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
- রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- শাটডাউনে অচল যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দর, হাজারো ফ্লাইট বাতিল
আবারও বেড়েছে ডিমের দাম
রাশেদ হোসাইন
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর