হত্যাচেষ্টা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আহসানুল করীম, এম কে রহমান ও শিশির মনির। এদিকে এই মামলা থেকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার নাম মামলা থেকে বাদ দিতে থানায় আবেদন করেছেন মামলার বাদী।
আদেশের পর আহসানুল করিম বলেন, তাকে (জেড আই খান পান্না) সম্পূর্ণভাবে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করেছে। আমি মনে করি না এখানে রাষ্ট্র যারা ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত তাদের কোনো প্রভাব আছে। অতি উৎসাহী ব্যক্তি এ মামলাটা করেছে। তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে সব সময় ফ্রন্টলাইনার ছিলেন। তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করেছেন। আদেশের পরে আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, আমি যতটুকু খোঁজ পেয়েছি, এই যে মামলাটা হলো এটা মুলাদীর লোকাল পটিলিক্স। সেখানে একজন আইনজীবীও আছে দুর্ভাগ্যবশত। পংকজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বাদীর কিছু অভিযোগ ছিল। তাকে বলছে, পংকজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা হবে। বাদী লেখাপড়া কিছু জানে না। ওখানে কার কার নাম ঢুকিয়েছে। আর সে সাইন দিয়ে এসেছে। এটা শুনেছি। সত্যি কি মিথ্যা আমি জানি না। সরকারের বিরোধিতা যেটা করছিলেন, সেটা কি এখনো চালিয়ে যাবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেড আই খান পান্না বলেন, সরকারের বিরোধিতা করিনি। সরকারের কিছু ভুল পদক্ষেপ, ভুল কার্যক্রমের আমি বিরোধিতা করেছি, সমালোচনা করেছি। এদিকে এই মামলা থেকে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার নাম বাদ দিতে খিলগাঁও থানায় আবেদন করেছেন বাদী। গতকাল দুপুরে এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দাউদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাদী বাকের সাহেব আজ আমার কাছে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে তার মামলার এজাহারে জেড আই খান পান্নাকে ভুলবসত আসামি করেছেন উল্লেখ করে তার নাম প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি আবেদনটি গ্রহণ করেছি, সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এ মামলা হয়। মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি। গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।