রাজধানীর পৃথক থানার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। গতকাল কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এ আবেদন মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সোহান শাহ নামে এক গার্মেন্টকর্মীকে গুলিতে হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
এদিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ডা. দীপু মনিকে। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় রিয়াজুল নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাবেক এমপি সাফিয়া কারাগারে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর পল্লবী থানার আকরাম খান রাব্বি হত্যা মামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি সাফিয়া খাতুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল ওয়াহাব এ আদেশ দেন। গতকাল পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই ওহিদউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর রাজধানীর পল্লবী থানার বালুঘাট এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতির সময় সাফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেন আকরাম খান রাব্বি।
বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সম্মিলিত আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা ফারুক খান। এ মামলায় সাফিয়া খাতুন সন্দেহভাজন আসামি।