ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী ও শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিংহ বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন দেশটির এই সিনিয়র রাজনীতিবিদ। গতকাল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের প্রবেশপথে সুখবীর সিং যখন তার অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছিলেন, সে সময় তার ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। পরে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধর্মীয় অপরাধ করার জন্য আগেই শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদলসহ দলের একাধিক সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিখ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অকাল তখত। এর শাস্তি হিসেবে দোষীদের গত দুই দিন ধরে স্বর্ণ মন্দিরের শৌচাগার পরিষ্কার, বাসন মাজা ও ধোওয়া, জুতো পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
শিখ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উপাসনাস্থল অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের শৌচালয় পরিষ্কার করতে দেখা যায় অকালি নেতাদের। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল। যদিও পা ভাঙা থাকায় গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করতে পারেননি সুখবীর সিংহ বাদল। তার বদলে হুইল চেয়ারে বসে স্বর্ণ মন্দিরের প্রবেশ পথে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। সকালে তিনি যখন নীল রঙের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় পাহারা দিচ্ছিলেন, তখনই তার ওপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীর নাম নারায়ণ সিং চৌরা। তিনি খলিস্তান লিবারেশন ফোর্স নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য। হামলার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে গেটের কাছে আসছে। তার পর দ্রুত বন্দুক বের করে। সুখবীর সিংহ বাদলের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একজন লোক তাকে সময়মতো দেখে তার হাত ধরে নেয়। ফলে গুলিটি ছিটকে বাইরে চলে যায়। এর পর আঁততায়ীকে ধরে ফেলেন স্বর্ণমন্দিরের বাইরে উপস্থিত লোকজন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পর পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। যদিও এ হামলার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। পাঞ্জাব পুলিশের এডিসিপি হরপাল সিং জানিয়েছেন, ‘মন্দির চত্বরে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। সুবীর সিং বাদলকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নারায়ণ সিং চৌরাকে মঙ্গলবারও এখানে দেখা গিয়েছিল এবং গতকালও তিনি সেখানে ছিলেন। তিনি একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা করার চেষ্টা করেছিলেন, যদিও সফল হননি।’