তিস্তার ১১৫ কিলোমিটারে কোথাও পানি নেই। প্রতি বছর বর্ষায় নদীটির ক্ষতি হয় ১ লাখ কোটি টাকার ওপরে। ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। রংপুরে গতকাল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাব আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক আদালতে যেন এর প্রতিকার চাওয়া হয়, তার দাবি জানান। ছাওমুম পাটোয়ারী সুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক উমর ফারুক, খাইরুল ইসলাম পলাশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের সদস্য সচিব রহমত আলী, শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, শিহাব ম ল প্রমুখ। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
উমর ফারুক বলেন, তিস্তা নদীর সঙ্গে জীবন-জীবিকা ও জীববৈচিত্র্য গভীরভাবে জড়িত। আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ভাটির দেশ হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বর্ষার অতি প্লাবনে জীবন ও সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না হলে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে দেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদীর উজানে স্থাপনা তৈরি করতে হলে ভাটির দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। এটি আন্তর্জাতিক নিয়ম। ভারত এই আইন লঙ্ঘন করেছে। এটি ইতিহাসের বর্বরতম অমানবিক ঘটনা। তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে এর প্রতিকার চাওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান। তিনি জানান, আমরা তিস্তার ১১৫ কিলোমিটার পরিদর্শন করে দেখেছি, কোথাও পানি নেই। গভীরতা না থাকায় তিস্তায় গভীর পানির মাছ নেই। প্রতি বছর বর্ষায় তিস্তায় ক্ষতি হয় ১ লাখ কোটি টাকার ওপরে। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা চাই।