বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ১৯ কোটি টাকার কাজ বিক্রি করে দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শহীদুর রহমান। পছন্দের ঠিকাদারদের গোপন কোড দিয়ে এসব কাজ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কাজের বিপরীতে তিনি ১ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। কাজ বিক্রির ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে তাতে রাজনৈতিক রং দিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে এক রাজনৈতিক নেতার মোবাইল ফোনের কথোপকথন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের কথোপকথনের অডিওটি বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসেছে। প্রকল্প পরিচালক শহীদুর রহমান অবশ্য কাজ বিক্রি করে দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি জানিয়েছেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। যেহেতু তাদের নাম আলোচনায় এসেছে, সেজন্য তার মাধ্যমে ওই রাজনৈতিক দলের নেতাদের ম্যানেজের চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালকের নির্দেশনা পালন করেছেন বলে তিনি জানান।
বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, শহীদুর রহমান বিএমডিএর ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আগে থেকেই প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গভীর নলকূপ আছে। নলকূপগুলো ৬১০ মিটার এলাকায় সেচ দিতে পারে। সেটি পাইপলাইনের মাধ্যমে আরও ৫০০ মিটার করে সম্প্রসারণ করাই এ প্রকল্পের কাজ। মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ইমাজউদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘আমাদের কোনো কাজ দেয়নি। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নিজের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছেন। জামায়াত-শিবিরকে ইমেজ সংকটে ফেলতে ওই প্রকৌশলী ইচ্ছা করে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে প্রচারণা চালিয়েছে। ওই প্রকৌশলীর ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে।’ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, ‘এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এই প্রথম শুনলেন। যদি কাজ ভাগাভাগি হয়, সেটা বিএমডিএ বলতে পারবে কার সঙ্গে করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের নাম বললে সে ঠিক বলেনি।’